অসমতা দূর করি, এইডসমুক্ত বিশ্ব গড়ি

এইচআইভি পরীক্ষা এবং সেবা (HTS)

Anamika

এইচআইভি সংক্রমণের প্রায় ৪০% এমন লোকদের দ্বারা সংক্রামিত হয় যারা জানেন না যে তাদের  ভাইরাস আছে।  যাদের এইচআইভি নির্ণয় করা হয়নি তাদের জন্য, স্বাস্থ্যকর জীবন বজায় রাখার এবং এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার প্রথম ধাপ হল পরীক্ষা।
এইচআইভি প্রতিরোধ এবং এইচআইভি ও এইডস সম্পর্কিত সেবা কার্যক্রমে পরীক্ষা ও সেবা প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে কাউন্সিলিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এইচআইভি ও এইডস কাউন্সিলিংয়ের মৌলিক ভিত্তি হলো শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে অবহিত করা। এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তি যেন মানসিকভাবে ভেঙ্গে না পড়ে সেজন্য মানসিক সমর্থন দিয়ে যাওয়া এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য সাহায্য করা। আবার নেগেটিভ হলে ভবিষ্যতে এ অবস্থা যাতে বজায় থাকে তার জন্য সতর্ক থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া।

 

কেন এইচআইভি পরীক্ষা করা গুরত্বপুর্ণ?

আপনার এইচআইভি স্ট্যাটাস জানার জন্য আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীকে এইচআইভি  পরীক্ষা করতে হবে।
আপনার ভাইরাস আছে কিনা তা জানার একমাত্র উপায় হল এইচআইভি পরীক্ষা করা।  যেহেতু এইডসের লক্ষণগুলি বিকাশ হতে কয়েক বছর সময় নিতে পারে, তাই আপনি ভাল বোধ করলেও এইচআইভি পরীক্ষা করা অপরিহার্য।  
এইচআইভি রক্ত এবং বীর্যের মতো শারীরিক তরলের মাধ্যমে  মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে।  এর মানে হল, যে এইচআইভি সংক্রমিত হওয়ার প্রধান  উপায় হল অরক্ষিত যৌন মিলন এবং মাদক ব্যবহারের সময় সূঁচ ভাগ করে নেওয়া ।  আপনি যদি এমন কারো সাথে এই আচরণে জড়িত থাকেন যার এইচআইভি স্ট্যাটাস অজানা, তবে এটি পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।  

 

এইচআইভি পরীক্ষা কেন করবেন ?

• এইচআইভি পরীক্ষা করার প্রধান কারণ হ'ল কেউ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে পারেন ।
• এইচআইভি আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের সাধারনত কোনও লক্ষণ  নেই।
• যখন কোনও ব্যক্তি এইচআইভি পজিটিভ হিসাবে চিহ্নিত হয়, তখন তাদের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলি জীবন  এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করার পাশাপাশি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।
• এইচআইভি পরীক্ষা খুবই সহজ। এক ফোটা রক্তের মাধ্যমে মাএ ১৫ মিনিটে ফলাফল জানা যায় ।
• নিজে,পরিবার এবং সমাজকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখার জন্য এইচআইভি পরীক্ষা করা দরকার ।
• এই পরীক্ষা  অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে করা হয়,আপনি ছাড়া আর কারো কাছে পরীক্ষার ফলাফল জানানো হয় না।


HTS কোথায় করা হয়:

প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট/প্যারামেডিক/ফিল্ড মনিটর/কমিউনিটি অর্গানাইজার/স্পট-লিডার/পিয়ার ভলান্টিয়ার হাতের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে রক্ত নিয়ে এইচআইভি টেস্টিং করতে পারবেন।

এইচআইভি পরীক্ষা করতে যে ৫টি বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে:
১. সম্মতিঃ এইচআইভি পরীক্ষার পূর্বে অবশ্যই ক্লায়েন্টের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
২. গোপনীয়তা রক্ষাঃ ক্লায়েন্টের সকল তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে তাকে নিশ্চিত করতে হবে।
৩. পরামর্শ প্রদানঃ এইচআইভি পরীক্ষার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পরামর্শদান সেশন অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট তার এইচআইভিতে আক্রান্ত হবার ঝুঁকির মাত্রা, তার নিজের এইচআইভি পরীক্ষার ফলাফল এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
৪. সঠি পরিক্ষাঃ মানসম্মত টেস্ট কিট ও সঠিক পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
৫. লিঙ্ককেজঃ এইচআইভি পরীক্ষায় শনাক্তকৃতদের যতদ্রুত সম্ভব এইচআইভি চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সেবাদান কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে এবং নিয়মিত ফলোআপ করা হয় ।

এছাড়াও সরকারী পর্যায়ে নির্দিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও জেলা সরকারী সদর হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষা ও সেবা প্রদানের ব্যবস্থা আছে। সম্পুর্ন তালিকা দেখুন  অনামিকা ওয়েবসাইটের “সেবাপ্রাপ্তির স্থানসমূহ” পেইজ থেকে।

Hotline: +৮৮০ ১৯০২২২২২২২